ফ্রি ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর A 2 Z

 


এই দুনিয়াতে ফেইসবুকের পর যদি কোন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকে তবে সেটা হল ইনস্টাগ্রাম।

 ইনস্টাগ্রামের  ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি,  বর্তমান ইনস্টাগ্রামের সক্রিয় ব্যবহার কারীর সং্খ্যা প্রায় ৫০ কোটি,  প্রতিদিন ইনস্টাগ্রামে লাইক পরে প্রায় ৪৪০ কোটি এবং বর্তমানে ২৫ লক্ষেরও বেশি বিজনেস একাউন্ট আছে ইনস্টাগ্রামে।

তাই আপনি যদি অনলাইনে বিজনেস করতে চান  তবে ইনস্টাগ্রামকে অদেখা করা যাবে না। এত বিশাল মার্কেটকে যদি ছেড়ে দেন তবে সবচেয়ে বড় ভুলটিই হয়ত করবেন।

ইনস্টাগ্রামের বিজনেস অপশন গুলো এতটাই ইউজার ফ্রেন্ডলি যে খুব খুব সহজে বিজনেস একাউন্ট খুলে বিজনেস করতে পারবেন।

 আর মার্কেটিং করার জন্য ইনস্টাগ্রামের চেয়ে বেস্ট কিছুই হতে পারে না।


এক কথায় সহজ মার্কেটিং করতে চাইলে ইনস্টাগ্রাম বেস্ট। তাই আজকের এই ব্লগে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর A2Z আলোচনা করব।

 so lets begin

১. বিজনেস একাউন্ট খুলুন : 

আপনি যদি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কোন কিছু বিক্রি করতে চান, তবে সবার প্রথম ইনস্টাগ্রাম বিজনেস একাউন্ট খুলুন। এবং এটা খোলা খুবই সহজ। নিচের ছবিতে দেয়া আছে কীভাবে বিজনেস একাউন্ট খুলবেন। 


২. লোগো এবং ডেসক্রিপশন :

 বিজনেস একাউন্ট খোলার পর প্রোফাইল পিকচারের জায়গায় আপনার কোম্পানির লোগো দিন। এবং ডেসক্রিপশনের জায়গায় পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করুন যে আপনি কোন ধরনের সার্ভিস অথবা পন্য সেল করছেন। আর আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে তবে সেটার লিংকও দিতে পারেন। কারন আপনার লোগো এবং ডেসক্রিপশনের উপড় নির্ভর করে অডিয়েন্স আপনার পেইজটাকে ফলো করবে কি না। তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। 


৩. আপনার ব্রান্ডের একটি ইউনিক কালার/রং বাছাই করুন : 


আপনার ব্রান্ডের জন্য একটি বিশেষ কালার বা রং বাছাই করুন যেই রংটা আপনি আপনার সব পোস্টে ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার ব্রান্ডের একটি অনন্য পরিচয় হবে। এবং কাস্টমার যদি দ্রুত স্ক্রোল করেও যায় এবং কেবল  আপনার ব্রান্ডের রংটা যদি লক্ষ্য করে তারপরও সে বুঝতে পারবে যে এটা আপনার ব্রান্ড। নিচে একটি উদাহরন দিচ্ছি।





৪. প্রতিদিন যে পরিমানে পোস্ট দিতে হবে: 


অনেক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী আছে যারা একবার পোস্ট দিলে আর ১ মাসও কোন খবর পাওয়া যায় না। আবার অনেকে আছে একদিনে ৫ / ১০ টা করে পোস্ট দেয়। এই দুটো জিনিষের কোনটাই করা উচিত নয়। কারন দেখুন একজন অডিয়েন্স ইনস্টাগ্রাম খুলেই যদি কেবল আপনরাই পোস্ট গুলো দেখে তবে তার কাছে এটা অনেকাংশে বিরক্তিকর মনে হয়। আর যদি আপনি বড় বড় বিরতি নিয়ে পোস্ট করেন তবে কাস্টমার আপনাকে ভুলেই যাবে। 

তাহলে একদিনে কতগুলো পোস্ট করব?

একটি জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম পেইজ গড়ে দিনে ১.৫ টি করে পোস্ট করে। যা কি না সপ্তাহে ১০- ১২ টা পোস্ট হয়।

আর আপনার কনটেন্ট যদি অনেক হয় তবে সেগুলো ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করুন।


৫. কেবল সেল সেল করলে হবে না:

মানুষ সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেকে একটু রিলাক্স করার জন্য। তাই আপনার পোস্ট যদি সবসময় সেল সেলই করে তবে কাস্টমারের কাছে বিরক্তিকর মনে। তাই কাস্টমারকে সরাসরি সবসময় সেল না করে আপনার কিছু প্রডাক্টের কেবল ছবি দিন এবং একটি সুন্দর ক্যাপশন দিন। যদি কাস্টমার ইন্টারেস্টেড থাকে তবে সে আপনা আপনিই আসবে। আর যদি ফানি কিছু পোস্ট করতে পারেন তবে সেটা আরো ভাল।


এই ছবিটাতে স্টারবাকস কিন্তু একবারের জন্যও বলে নি যে আমাদের কাছ থেকে কফি কিনুন।


৬. সুইপ অপশনের ব্যবহার : 


এই অপশনটি খুবই সুন্দর একটি অপশন। আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থাকে এবং সেই ওয়েবসাইটের বিশেষ কোন পেইজে যদি কাস্টমারকে ভিসিট করাতে চান তবে এই অপশনটা বেস্ট। আপনি জাস্ট একটা ছবি দিন এবং সেখানে পেইজের লিংক দিয়ে দিন। শুধু সুইপ করলেই কাস্টমার আপনার পেইজে চলে যাবে।


৭. একই পন্যের পোস্ট বার বার দেয়া :

 মানুষ এত দ্রুত স্ক্রোল করে যে অনেক সময় আপনার পন্যের ছবিটি অনেক কাস্টমারের চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। তাই একই পোস্ট যদি কয়েকবার দিতে পারেন তবে কাস্টমারের চোখে একবার না একবার পরবেই।


৮. হ্যাশ ট্যাগ : 

ইনস্টাগ্রামে হ্যাশ ট্যাগটা খুবই গুরুত্ব পূর্ন। সর্বোচ্চ ৩০ টা হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করা যায় একটি পোস্টে। তবে একটি পোস্টে ৫ - ৭ টা হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করাই উত্তম। হ্যাশ ট্যাগ গুলো অবশ্যই আপনার পন্য বা সার্ভিস সম্পর্কিত হতে হবে।

Like, comment,share,followme এসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা যাবে না।


৯.সঠিক সময় পোস্ট দেয়া : 

এমন সময় পোস্ট আপলোড করুন যেসময় আপনার সর্বোচ্চ টার্গেট অডিয়েন্স ইনস্টাগ্রামে এক্টিভ থাকে। এর ফলে আপনি অনেক বেশি রিচ এবং এংগেজম্যান্ট পাবেন। এখন আপনি জানবেন কিভাবে যে কখন বেস্ট টাইম।

ইনস্টাগ্রাম ইনসাইড নামক একটি অপশন আছে সেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন।

তারপরও আমি একটি সময় দিয়ে দিচ্ছি।




১০. কাস্টমারের দেয়া ছবি :

 আপনার কাস্টমারকে আপনার পন্য ব্যবহারত অবস্থার ছবি দিতে বলুন। এবং সেই ছবি গুলোকে নিজের ইনস্টাগ্রাম পেইজে দিন।  এতে করে আপনার ব্রান্ডের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বাড়বে। 


১১.ইনস্টাগ্রামের যতগুলো ফিচার তার প্রতিটা ব্যবহার করা : 

ইনস্টাগ্রামে অনেক ফিচার আছে আপনি সবগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। এটা আপনার ইনস্টাগ্রাম পেইজকে অনেক বেশি প্রফেশনাল বানাবে। এবং আপনার পন্যের মার্কেটিং করার অনেক অনেক অপশন পাবেন।

 যেমন 

১. Photo

2.video

3. carousel

4.stories ইত্যাদি।


১২. ইনস্টাগ্রামের পোস্ট এবং স্টোরির মাধ্যমে সরাসরি সেল করা:


 আপনার যদি নিজস্ব ইকমার্স সাইট থাকে তবে আপনি সরাসরি ইনস্টাগ্রামের পোস্ট অথবা স্টোরি মাধ্যমে সেল করতে পারবেন। আপনি কেবল ছবি সহ দামটা দিবেন এবং সাথে আপনার পেইজের লিংকটা জুড়ে দিবেন। ফলে ছবিতে ক্লিক করেই সরাসরি আপনার কাস্টমার আপনার পেইজে চলে যাবে এবং সেখান থেকে কিনতে পারবে। এর ফলে কাস্টমারকে অযথা আপনার ই কমার্স পেইজে গিয়ে খুজতে হবে না।




১৩.ইনস্টাগ্রাম ইনসাইট : 


সবসময় ইনস্টাগ্রাম ইনসাইড অপশনটার ব্যবহার বারান। এর ফলে জানতে পারবেন কোন পোস্টটি ভাল চলছে এবং কোনটি ভাল চলছে না,কখন আপনার অডিয়েন্স আসছে সবকিছু জানতে পারবেন এই ইনসাইডে এবং সে অনুযায়ী কৌশল অবলম্বন করতে পারবেন।


এই ছিল কিছু ট্রিকস এবং টেকনিক ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে। আপনি চাইলে এপ্লাই করতে পারেন। 


Hurry Up!  ইনস্টাগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হতে যাচ্ছে। তাই আজ থেকেই এগিয়ে রাখুন নিজেকে।


Sources

https://www.google.com/amp/s/neilpatel.com/blog/instagram-marketing-tips/amp/

https://blog.hubspot.com/marketing/instagram-best-time-post

https://www.quicksprout.com/instagram-marketing-strategy/

https://www.google.com/amp/s/blog.hootsuite.com/instagram-marketing/amp/





মন্তব্যসমূহ