৫ টাকায় ৪ টি বিস্কুট, ২৫ বছর ধরে একই দাম একই মান।




Parle G বিস্কুটের নাম ত  আমরা সবাই জানি। parle G বিস্কুট পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বিস্কুট ব্রান্ড। 

Parle G বিস্কুট পার্লে কোম্পানির একটি পন্য। এটি Parle কোম্পানির ড্রাইভার প্রডাক্ট। ড্রাইভার প্রডাক্ট বলতে বুঝায় যে প্রডাক্ট দ্বারা একটি কোম্পানি পুরো দুনিয়া জুড়ে পরিচিতি। Parle G এর একটি ছোট প্যাকেটের দাম ৫ টাকা। 

একবার ভারতে Parle G এর দাম মাত্র ৫০ পয়সা বাড়িয়েছিল বলে, তাদের বিক্রিই কমে যায়। এমন কি মানুষ এর জন্য আন্দোলনও করেছিল। তারপর থেকে গত ২৫ বছর ধরে তারা এই বিস্কুটের দাম আর বাড়ায় নি। 

তারা বিস্কুটের দামও বাড়ায়নি কোয়ালিটিও কমায় নি তারপরও কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়ে সফলতার সহিত ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের সফলতার গ্রাফ দেখলে চোখ একদম আকাশে ঊঠে যাবে। 

২০১৩ সালে তাদের টার্ন ওভার ছিল প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালে এর টার্ন ওভার দাড়ায় প্রায় ১১০০০ কোটি টাকা। এখন বলতে পারেন যাদুর চেরাগ হাতে পাইছে নাকি?  
আসলে যাদুর চেরাগ না সবই হল স্ট্র‍্যাটেজি। 

ত তারা কি এমন স্ট্রাটেজি অবলম্বন করেছিল যাতে করে ২৫ বছর দাম না বাড়িয়ে আর মান না কমিয়ে সফল ভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে।


আজকে জানব আমরা সেই স্ট্রেটিজি গুলো

So let's Begin

১. মুনাফার পরিমান কম করা : 

পার্লে জি তাদের মুনাফার পরিমানে কম রেখে পন্য বিক্রি করে। তারা Economies of scale এ প্রফিট করে। যেমন তাদের পন্য এত পরিমানে বিক্রি হয় যে তারা যদি প্রতি পিসে ১০ পয়সা করেও লাভ করে তারপরও ১ কোটি প্যাকেট বিস্কুটে ১০ লক্ষ টাকা লাভ। 

২. অন্য প্রডাক্ট : 

পার্লে জি যেহেতু অনেক জনপ্রিয় বিস্কুট ব্রান্ড। তাই তারা কি করল পার্লে ব্রান্ড ব্যবহার করে অন্যান্য প্রডাক্ট বিক্রি করা শুরু করল। ফলে পার্লে জি বিস্কুটের মুনাফা তারা অন্যান্য প্রডাক্ট দিয়ে পুষিয়ে নেেয়। আর যেহেতু পার্লে জি সবার মনে একটা জায়গা করে নিয়েছে তাই পার্লে কোম্পানির তাদের অন্য পন্য গুলো বিক্রি করতে নতুন কাস্টমার ধরার খরচ কম পড়ে যায়।

৩. ওজন : 

প্রথম প্রথম ছোট পার্লে জি বিস্কুটের ওজন ছিল ৯০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম। কিন্তু দামের সাথে পন্যের কোয়ালিটি বজায় রাখার জন্য তারা বিস্কুটের ওজন কমিয়ে ৬৫ গ্রামে নিয়ে আসে। এটা কোন চিটিং না, কারন প্যাকেটের গায়ে এর ওজন উল্লেখ করা আছে।

৪.প্যাকেজিং : 


পার্লে জি তাদের খরচ কমানোর জন্য প্যাকেজিং খরচ একদম কম করে। তাদের প্যাকেজিং অনেক সিম্পল হয়। 

৫. কাচামাল : 

পার্লে জি হাই কোয়ালিটির কাচামাল অত্যন্ত সস্তায় কিনতে পারে,তাদের সাপ্লাইয়ের কাছ থেকে। 

৬. ম্যানুফেকচারিং প্লান্ট : 

পার্লে জি এমন জায়গায় তাদের ম্যানুফেকচারিং প্লান্ট স্থাপন করেছেন, যেখান থেকে ভারতের সর্বোচ্চ জনগনকে সার্ভিস দেয়া সহজ হয়। এর ফলে লজিস্টিকের জন্য এক্সট্রা খরচ করতে হয় না। 

৭.বিজ্ঞাপন : 

পার্লে জি এতটাই জনপ্রিয় ব্রান্ড হয়ে ওঠেছে যে এর জন্য বিজ্ঞাপনের আলাদা খরচ করা লাগে না।


এই ছিল ৭ টি স্ট্রেটেজি যেগুলো ব্যবহার করে পার্লে জি বিস্কুট তাদের সুনাম এবং দাম একই ভাবে অক্ষুন্ন রেখেছে। 

মন্তব্যসমূহ