Introvert হয়েও বেস্ট সেলসম্যান হবার টেকনিক।




আমরা অনেকেই মনে করি সেলসম্যান হতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনেক বেশি Extrovert হতে হবে, কথাটা সত্য হলেও বর্তমান সময় থেকে তা আর পুরোপুরি সত্য থাকবে না।

কারন হল এই করনা ভাইরাসের পর আমাদের জীবন যাত্রা অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হয়ে যাবে। মানুষ ফিজিক্যালি দোকানে গিয়ে পন্য কিনার চেয়ে অনলাইনে গিয়ে পন্য কেনায় সবচেয়ে বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। 

অনেক মানুষ আছে যারা বাস্তব জীবনে মানুষের সাথে কথা বলতে না পারলেও অনলাইনে পুরো কাপিয়ে দেয়, তাদের জন্যই এই সুযোগ। অনলাইন হল এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে কে Extrovert বা কে Introvert এসব কিছুই বিবেচিত হয় না। নিজের দোকান নিজের মত করে সেল করবেন। আপনাকে বাধা দেবার মত কেউ নেই। 

তাই অনলাইনে সেলসের দুনিয়াটাকে কাপিয়ে দিন আপনার সৃজীনশীলতা দিয়ে। আজ Introvert ন্যাচারও আপনাকে আটকাতে পারবে না ভাল সেলস ম্যান হতে। ফেইসবুক, linked In, নিজের ওয়েবসাইট যেখানেই থাকুন কিছু না কিছু সেল করা শুরু করুন।


বর্তমান Extrovert Introvert এসবের দিন শেষ। এখন অনলাইনের দুনিয়া, যে যত ভাল ভাবে তার মেসেজ রিয়েল কাস্টমারের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে পৌছাবে সে তত ভাল সেলসম্যান হতে পারবে। কিন্তু ভাল ভাবে কাস্টমারের সাথে ডিল করতে হলে ভাল টেকনিক ত জানতে হবে।

তাই আজকে আমি এমন ৫ টি সেলসের টেকনিক বলব যেগুলো ব্যবহার করলে, আপনি অনলাইন অফলাইন দুই দুনিয়াতেই বেস্ট হতে পারবেন।

So let's Begin

কাস্টমারকে পন্য ব্যবহারের বেনিফিট বলা : 

কাস্টমার কখনো ফিচার দিয়ে পন্য বিবেচনা করে না,তারা বিচার করে একটি পন্য থেকে তারা কি লাভ বা সুবিধা পাবে। 

 একটা মোবাইল কোম্পানি বলল আমাদের ফোনটিতে ৬০০০ Mph এর ব্যাটারি আছে। আপনি আমাদের এই ফোনটা কিনতে পারেন।

 এখন টেকনিক্যাল দুনিয়ার  লোক ছাড়া ৯৯% লোক ত বুঝবেই ৬০০০ Mph কি জিনিষ,এটা খায় না পড়ে । 

 ৬০০০ Mph হোক আর ১০০০০ Mph মানুষ কেবল একটাই জিনিষই চায় আমার কি লাভ হবে।

 কাস্টমারকে  যদি এইভাবে বলা হত যে, আমাদের ফোনের ব্যাটারি এতটাই স্ট্রং যে টানা ৮ ঘন্টা চালালেও চার্জ থেকে যাবে। আপনি আমাদের এই ফোনটা কিনতে পারেন। এইবার কাস্টমার বুঝবে না এটা কিনে লাভ আছে। আমি এটাই কিনব!

তাই মনের মধ্যে একটা কথাই গেথে রাখুন যে কাস্টমারকে সবসময় পন্যের বেনিফিট বলব, পন্যের ফিচার বলব না।

২.Yes Yes টেকনিক : 

এটা অনেক প্রাচীন কিন্তু খুবই কার্যকরী টেকনিক।আপনি যদি একজন কাস্টমারের মুখ থেকে ৫ বার Yes শব্দটি বের করতে পারেন, তবে নিশ্চিত থাকুন ৯০% শতাংশ বার কাস্টামার আপনার কাছ থেকেই পন্য কিনবে। 

যেমন ধরুন আপনি একটি সফটওয়ার বিক্রি করবেন এখন এক জায়গায় গিয়ে বললেন,'স্যার আপনি কি বছরে ১০০০০ টাকা বাচাতে চান?'

কাস্টমার, 'হ্যা'

সেলার : স্যার, আপনি কি এমন একটি জিনিষ খুজছেন যেটা ব্যবহার অনেক সহজ?

কাস্টমার: হ্যা!

সেলার: স্যার আপনি কি চান একজন কর্মীর কাজ কমিয়েদেক এইরকম একটি সফটওয়ার? 

কাস্টমার : হ্যা!

সেলার : তাহলে স্যার আপনার আমাদের এই সফটওয়্যারটি কিনা খুবই দরকারি।

তিন বার হ্যা বলার পর আপনার কাস্টমারকে যখন সরাসরি পন্য কেনার কথা বলবেন তখন সে আর না করতে পারবে না। 

কারন তার এত বার হ্যা বলার কারনে পন্য সম্পর্কে তার একটি পজেটিভ ধারনা সৃষ্টি হয়ে গেছে ফলে সে আপনার কাছ থেকেই পন্য কিনবে।

৩. ফ্রি এক্সপিরিয়েন্স : 

আপনার কাস্টমারকে আপনার পন্যের ফ্রি এক্সপিরিয়েন্স করান। যেমন ধরুন অনলাইন কোর্স বিক্রি করছেন, কিছু ক্লাস ফ্রিতে দিয়ে দিন। কারন একবার যদি  কাসস্টটমারেেে কাছে আপনার ফ্রি পন্যটি ভাল লাগে সে অবশ্যই টাকা দিয়েও সেই পন্যটি কিনবে। দেখবেন বিভিন্ন কোম্পানির পন্যের মিনি প্যাক গুলোর দাম অনেক কম হয়,যাতে কাস্টমার ফ্রিতে অথবা খুব কম দামে তাদের পন্যের অভিজ্ঞতা নিতে পারে। 

৪. স্কারসিটি : 

মানুষের মনের মধ্যে একধরনের শেষ হয়ে যাবার আশংকা সৃষ্টি করুন। যেমন : এই অফারটি আর মাত্র ১০ দিনের জন্য, আর মাত্র ১০ টি পন্য আমাদের কাছে আছে, লিমিটেড এডিশন ইত্যাদি কথা মানুষের মনের মধ্যে একধরনের হারিয়ে যাবার ভয় সৃষ্টি করে ফলে কাস্টমার দ্রুত পন্য কিনে নেয়।

৫. কোয়ালিটি ডিজাইন :  

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, "প্রথমে দর্শনধারী পরে গুন বিচারী" আপনার পন্য কাস্টমারের কাছে পরে যাবে সবার আগে যাবে আপনার পন্যের প্রেজেনটেশন। 
আপনার পন্যের প্রেজেনটেশন যদি সুন্দর হয় তবে কাস্টমার আপনার কাছে আসবে। তাই আপনার পন্যের বিজ্ঞাপনের ডিজাইন,পন্যের ছবি, ওয়েবসাইটের ডিজাইন এসব জিনিষ খুব আকর্ষনীয় করতে হবে।

এই ছিল ৫ টি ট্রিকস যেগুলো ব্যবহার করে অনলাইন অফলাইন দু জায়গায় আপনি সেলসের ক্ষেত্রে সমান সফল হবেন। 







মন্তব্যসমূহ