কীভাবে একটি কোম্পানি গ্রেট Brand হয়?

 





বাংলাদেশের প্রাসপেক্টিভে একটা জিনিষ খুবই হতাশা জনক। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় কোম্পানি অনেক পন্য বানাচ্ছে ,কিন্তু নিজেদেরকে ব্রান্ড বানিয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। সবাই কেবল সেলস এবং প্রফিট নিয়ে চিন্তা করে। ব্রান্ড নিয়ে চিন্তা কেউ করেই না। কোকা কোলা প্রায় ১০০ বছরের ও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছে ।তার পেছনে মূল কারন হল ব্রান্ড ।ব্রান্ড আপনাকে লম্বা সময় ধরে বিজনেসে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। তাই কেবল সেলস এবং প্রফিট ফোকাস না করে নিজের কোম্পানির ব্রান্ড ডেভলাপমেন্টের উপড় বেশি ফোকাস করা উচিত।


আমাদের পাশর্বতী দেশ ভারতের দিকে যদি তাকান। তাদের কিছু কিছু কোম্পানি যারা কেবল পন্য বানায় না তারা বানায় ব্রান্ড যেমন টাটা,রিলায়েন্স,বাজাজ,বিরলা ইত্যাদি ।

ব্রান্ড হল এমন এক জিনিষ যেটা অনুভব করার বিষয়। মার্কেটিং এ একটা কথা খুব প্রচলিত "পন্য তৈরি হয় ফ্যাক্টরিতে,কিন্তু ব্রান্ড তৈরি হয় মানুষের মনে"

আমার অনেক দিন ধরেই একটা জিনিষ জানার খুব আগ্রহ ছিল ব্রান্ড কীভাবে তৈরি হয়। তাই শুরু করে দেই রিসার্চ । মার্কেটিং এর ছাত্র হিসেবে ব্রান্ড সম্পর্কে ধারনা ত ছিলই কিন্তু তারপরও গ্রেট কিছু কোম্পানির উপড় একটি রিসার্চ চালাই । ত সবগুলো কোম্পানির মধ্যে বেশ কিছু জিনিষ খুব কমন ছিল যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তাই এই ব্লগে আমি সেই বিষয়গুলো শেয়ার করব।


So Let's Begin


১. কেনঃ

প্রথম যে বিষয়টি আমি সকল গ্রেট কোম্পানি গুলোর মধ্যে খুজে পেয়েছি সেটা হল ,কেন কাস্টমার আমার কাছ থেকে পন্য নিবে এই বিষয়টি তারা সবার আগে ক্লিয়ার করে । কিসের জন্য আমরা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে কাস্টমারের জন্য পন্য তৈরি করছি? কেন আমরা এই কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠা করেছি? এই কেন কথাটি যারা বুঝে নিজেদের ব্যবসায়ে এপ্লাই করেছে তারাই আজকে ব্রান্ড হয়েছে । একটা একটা উদাহরন দেই

১. এপল ঃ কাস্টমারকে সুন্দর এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিভাইস প্রভাইড করা। ২.গুগলঃ এক ক্লিকে পৃথিবীর সকল তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌছানো । ৩.আমাজনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্রেতা কেন্দ্রিক কোম্পানি তৈরি করা।

তাই ব্রান্ড তৈরি করার আগে সবার আগে এসব কেন গুলোর উত্তর দিন।




২. বিশ্বাসযগ্যতাঃ

একটা কোম্পানি তখনই একটি গ্রেট ব্রান্ড এ রুপান্তরিত হয় যখন মানুষের বিশ্বাস সেই ব্রান্ডের উপড় অটূট থাকে । আর বিশ্বাস সৃষ্টি হয় তখন যখন একটি কোম্পানির কাজের সাথে কথার মিল থাকে। মানে কোম্পানি যেরকম কমিট্মেন্ট তার কাস্টমারকে দিয়েছে সেগুলো পূরন করা

৩. দুরদর্শী চিন্তাঃ

একটি গ্রেট ব্রান্ড কখনো শর্ট টার্ম বেনিফিটের জন্য কাজ করে না। সবসময় লং ট্রাম বেনিফিটের কথা চিন্তা করে। এর এক উজ্জ্বল উদাহরন টাটা কোম্পানি এবং ডোকোমো কোম্পানির একটি কাহিনী। এই ব্লগে কাহিনীটি বলা যাবে না। যদি গল্পটি জানতে চান তবে কমেন্ট করুন। পরের ব্লগটি এর উপরই বানানো হবে।




৪. নতুন কিছু নিয়ে আসাঃ

একটা ব্রান্ড সফল হবার জন্য সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা কাজ করে সেটা হল নতুন কিছু নিয়ে আসা। যেমন কোকাকোলা গ্রেট ব্রান্ড হবার কারন তারাি প্রথম সফট ড্রিংকস নিয়ে এসেছিল।

আমাজন,ফেইসবুক ,গুগল তাদের প্রত্যেকেরই ক্ষেত্রেই একই ঘটনা।




.৫.টার্গেট কাস্টমারকে বুঝা ঃ


একটি সফল ব্রান্ড তখনই সফল হয় যখন তারা তাদের কাস্টমারের প্রিয় ব্রান্ড হিসেবে কাস্টমারের মনে নাম লেখাতে পারে । আর সেটা তখনই সম্ভব যখন কোম্পানি তার কাস্টমারকে খুব ভালোভাবে বুঝবে। কাস্টমার কি পছন্দ করে, তাদের সাইকলজি, তাদের বায়িং প্যার্টান , তাদের ইন্টারেস্ট , সবকিছু নিয়ে খুব ভালো ভাবে স্টাঠি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সেট করতে হবে।






একটি সফল উদাহরন দেই ।

বারাক ওবামার নাম আমরা সকলে জানি তিনি একজন গ্রেট লিডার । তিনি যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ায় তখন তিনি একটি ক্যাম্পেইন লঞ্চ করেন। যেটি ছিল একটি ওয়েব সাইট যেখানে সকলে তাদের মতামত পোষন করবে। সেটির নাম ছিল mybarakobama.com । তরুনদের টার্গেট করে এই ক্যাম্পেইনটি চালু করা হয় বলে এখানে ইন্টারনেটের ব্যবহার করে, কারন তরুনরা সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করে। আর নামটিতে একটি সাইকলোজি গেইম খেলা হয় "মাই বারাক ওবামা" কারন তরুন রা বেশির ভাগ সেলফ সেন্ট্রিক হয়ে থাকে এবং যখনই 'আমার' শব্দটি দেখে তখনই সেটাতে তারা আগ্রহ পোষন করে। সেই বছর এই ক্যাম্পেইনটি অনেক সফল হয়। তাই কাস্টমারকে বুঝে স্ট্রাটেজি সেট করুন।



একটি সফল ব্রান্ড হবার পেছনে এই ছিল ৫ টি স্ট্রাটেজি । যেগুলো আপনি ব্যবহার করে আপনিও সফল হতে পারবেন।


sources





Book : start with why by simon sinek

মন্তব্যসমূহ